বাংলাদেশে বর্তমানে গরুর মাংসের দাম প্রতি কেজি ৭০০-৮০০ টাকা। গত কয়েক বছরে খাদ্যশস্য ও গবাদি পশুর খামারের খরচ বৃদ্ধি এবং মুদ্রাস্ফীতির কারণে মাংসের দাম অনেকটাই বেড়েছে।
ভারতে গরুর মাংসের দাম
ভারতে গরুর মাংসের দাম রাজ্য ভিত্তিক কিছুটা পার্থক্য আছে। সাধারণভাবে প্রতি কেজি ৩০০-৪৫০ টাকার মতো হয়।
ভুটানে গরুর মাংসের দাম
ভুটানে গরুর মাংসের দাম প্রতি কেজি প্রায় ২৫০-৩০০ টাকা। ভুটানে পশুপালন ব্যবস্থা ভালো এবং মাংসের চাহিদা অনেক বেশি নয়।
শ্রীলঙ্কায় গরুর মাংসের দাম
দুর্নীতিগ্রস্থ দেশ শ্রীলঙ্কায় গরুর মাংসের দাম প্রতি কেজি ৪০০-৫০০ টাকার মতো। অর্থনৈতিক সংকট এবং মুদ্রাস্ফীতির কারণে মাংসের দাম অনেকটাই বেড়েছে সেখানে।
বাংলাদেশের বাজারের অবস্থা
বাংলাদেশের বাজারে প্রায় সব খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে মাংস, ডিম, তেল এবং শাকসবজির দাম বেড়েছে অনেক। মুদ্রাস্ফীতি এবং পণ্যের যোগান ব্যবস্থার সমস্যার জন্য এই দাম বৃদ্ধি হচ্ছে। গরীব ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য খাদ্যশস্য ক্রয় করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
লাগামহীন বাজারে গরীব মানুষদের চলার কোন উপায় নেই। সরকারকে অবশ্যই দাম নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং গরীব জনগণের জন্য ভর্তুকি ব্যবস্থা করতে হবে। নাহলে দেশের অর্থনীতি আরও বিপর্যস্ত হতে পারে।
গরুর মাংসের দাম কমানোর উপায় কি
বাংলাদেশে বর্তমানে গরুর মাংসের দাম কমানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে:
১. গবাদি পশুর খামার বৃদ্ধি করা: দেশের ভিতরে গরুর খামার বাড়ানোর মাধ্যমে মাংসের যোগান বৃদ্ধি করা যেতে পারে। এতে করে আমদানির উপর নির্ভরশীলতা কমবে এবং মূল্য স্থিতিশীল রাখা সম্ভব হবে।
২. খাদ্যশস্য ও খামারের খরচ কমানো: গবাদি পশুর খাদ্য ও খামারের অন্যান্য খরচ কমিয়ে আনা গেলে উৎপাদন খরচ কমবে। ফলে মাংসের দাম কমানো সম্ভব হবে।
৩. কৃষকদের উৎপাদন বোনাস দেওয়া: কৃষক ও খামারিদের উৎপাদন বোনাস দেওয়ার মাধ্যমে তাদের উৎসাহিত করা যেতে পারে। এতে গরুর মাংসের উৎপাদন বাড়বে।
৪. আমদানি শুল্ক কমানো: গরুর মাংস আমদানির উপর শুল্ক কমালে আমদানিকারকরা কম দামে মাংস আমদানি করতে পারবে। ফলে দেশে মাংসের দাম কমবে।
৫. বিপণন ব্যবস্থা উন্নয়ন: মাংসের বিপণন ব্যবস্থা উন্নত করলে মধ্যস্বত্বভোগীদের হাত থেকে বাঁচা যাবে এবং দাম কম থাকবে।
৬. মজুদ রাখা: মৌসুমী সময়ে মাংসের মজুদ রাখলে চাহিদার তুলনায় যোগান বেশি থাকবে এবং দাম স্থিতিশীল রাখা সম্ভব হবে।
সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এসব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে যাতে গরীব জনগণ মাংস কিনতে পারে। একইসাথে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করাও জরুরি।