শরীরের ডায়াবেটিসে সুগারের পরিমান নির্ণয় করার জন্য আমাদের কাছে সহজ উপায় হচ্ছে গ্লুকোমিটার বা ডায়াবেটিস মাপার মেশিন যার দ্বারা আমরা ডায়াবেটিস পরীক্ষা করতে পারি। যাদের ডায়াবেটিসে আছে তাদের যখন স্বাভাবিক নিয়মের ব্যত্যয় হয় তখন শরীরে গ্লুকোজের পরিমানও অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পরে। এসময় শরীরের সুগারের পরিমান জানার জন্য প্রয়োজন একটি গ্লুকোমিটার। বর্তমান সময়ে প্রচুর মানুষ ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হয় এবং তাদের ডায়াবেটিস প্রতিদিন মাপার জন্য তারা ডায়াবেটিস মেশিন বা ডাইবেটিস মাপার মেশিন কিনে থাকে। এখন ঘরে বসেই নিজে নিজে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করতে পারবেন। জরুরি মুহূর্তে ডায়াবেটিস বেড়ে গেলে এই মেশিনের মাধ্যমে পরীক্ষা করে ওষুধ সেবন করতে পারবেন।
ডায়াবেটিস মেশিন কী ?
যে যন্ত্রের সাহায্য রক্তের চাপ এবং গ্লুকোজের পরিমাণ নির্নয় করা হয় তাকে ডায়াবেইস মাপার যন্ত্র বলে। একটি ডিজিটাল ডিসপ্লে থেকে যেখানে আপনি আপনার শরীরে কতটুকু ডায়াবেটিস আছে তা দেখতে পারবেন। বাজারে কমে দামে ভালোমানের অনেক মেসিন পাওয়া যায়। যে গুলো দ্বারা ঘরে বসেই বিনা খরচে ডায়াবেটিস এর পরিমাণ মাপা যায়।
আরো পড়ুনঃ মিল্ক শেক এর দাম কত বর্তমানে ২০২৪
ডায়াবেটিস মেশিনের দাম কত
ডিজিটাল এই যুগে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ঘরে বসেই ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা যায়। আপনারা হয়তো অবগত আছেন ডায়াবেটিস একটি মারা*ত্মক রোগ। এ রোগ যাদের হয়েছে তারা একমাত্র বুঝে এর যন্ত্রণা কতটা। কিন্তু একন ডায়াবেটিস মেশিন কিনে এনে ঘরে বসেই ডায়াবেটিস পরীক্ষা করতে পারবেন।
মেশিনের নাম | মূল্য |
---|---|
কনট্যুর প্লাস ০.৫ মিগ্রা/ডিএল রক্তের গ্লুকোজ মিটার | ১,৬০০ টাকা |
গেটওয়েল ফাস্ট ব্লাড সুগার চেক | ১,৭৯৯ টাকা |
পামচেক ব্লাড গ্লুকোজ মনিটরিং সিস্টেম | ৯৫০ টাকা |
Accu-Chek ইনস্ট্যান্ট এস ব্লাড গ্লুকোজ মনিটর | ২,৮০০ টাকা |
অন কল EZ II ব্লাড গ্লুকোজ মিটার | ১,৪৯০ টাকা |
Bioland G-425-3 ইজি ব্লাড গ্লুকোজ মনিটর | ৯৯০ টাকা |
বায়োহার্মিস লিম্পিড ব্লাড গ্লুকোজ মনিটরিং সিস্টেম | ১,৫৫০ টাকা |
Accu-Chek সক্রিয় রক্তের গ্লুকোজ মনিটর | ৩,৫০০ টাকা |
আরবিসি গ্লুকো চেক ব্লাড গ্লুকোজ মিটার | ১,৪৫০ টাকা |
Accu-Chek সক্রিয় 50 পিস টেস্ট স্ট্রিপ | ১,৩৯৯ টাকা |
কোন ডায়াবেটিস মেশিন ভালো
ডায়াবেটিসের সবচেয়ে ভালো যন্ত্র Accu Test Elite. দামে মানে গুনে সেরা। ঘরে বসেই যে কেউ সহজে রক্তের গ্লুকোজ পরিমাপ করতে পারে। সাধারণত 5.8 মিলিমল হলে ধরে নেওয়া হয় সুস্থ।আর যদি 5.8 এর বেশী হয় 7.5 মিলিমলের কম হলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি থাকে।তাই 7.5 থেকে 10 মিলিমোল পয়েন্ট হলে ডাক্তারি ভাষায় কম ঝুঁকিপূর্ণ ডায়াবেটিস।এগুলো ঔষধ খেলে সুগার কমে যায়।এর থেকে বেশী হলে সেই ডায়াবেটিস বেশী ঝুঁকিপূর্ণ।তখন কোনো ঔষধের দ্বারা সুগার কমতে চায় না।তখন ইনসুলিন নিতে হয়।
আরো পড়ুনঃ আজকের গ্যাস সিলিন্ডারের দাম কত ২০২৪
ডায়াবেটিস মাপার মেশিনের ব্যবহার
ডায়াবেটিস মাপার যন্ত্রের নাম গ্লুকোমিটার। এই যন্ত্রের সাহায্যে ঘরে বসেই রক্তের সুগার অর্থাৎ, ডায়াবেটিসের মাত্রা কত পয়েন্ট তা নির্ণয় করা যায়। ডায়াবেটিস মাপার জন্য টেস্ট স্ট্রিপের ভায়াল থেকে একটি স্ট্রিপ বের করুন। স্ট্রিপটি মিটার ডিভাইসে প্রবেশ করান। ল্যান্সেট বা সুঁই ল্যান্সিং পেন এর ভিতর প্রবেশ করান।হাত ভালোভাবে সাবান দিয়ে ধুয়ে মুছে নিন অথবা অ্যালকোহল দ্রবণে মুছে নিন। দ্রবণ ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভালো করে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এবার ল্যান্সিং পেন দিয়ে হাতের আঙুলের অগ্রভাগে একটা ফুটো করুন যেন এক ফোঁটা রক্ত বেরিয়ে আসতে পারে।রক্তের ফোঁটা টেস্ট স্ট্রিপের অগ্রভাগে লাগান এবং রিডিং পাবার জন্য অপেক্ষা করুন।
অ্যামেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশনের মতে খাওয়ার আগের টেস্টে গ্লুকোজের মাত্রা ৪.৪-৭.২ মিলিমোল/লিটার হল ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষেত্রে স্বাভাবিক। আর খাওয়ার পরের টেস্টে স্বাভাবিক মাত্রা হচ্ছে ১০ মিলিমোল/লিটার এর কম।
আশা করছি, আপনারা ডায়াবেটিস মাপার মেশিন এর দাম কত ২০২৪ এই সম্পর্কে বিস্তারিত বুঝতে পেরেছেন। Bazar Haal এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।