মালয়েশিয়া ভিসায় টুরিষ্ট কৃষি, স্টুডেন্ট ফ্রী ভিসাসহ, সকল ভিসার জন্য কত টাকা লাগবে তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। বর্তমান বাংলাদেশের অনেক মানুষ জীবিকা নির্বাহের জন্য মালয়েশিয়ায় বসবাস করে। জীবন চালনার জন্য কর্মক্ষেত্রে বেছে নিতে হয় টাকা উপার্জন করতে। অনেকেই কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে প্রবাস জীবন বেছে নেয়। বাংলাদেশ থেকে প্রতিনিয়ত মালয়েশিয়া ভিসা বিভিন্ন কাজের জন্য পাড়ি জমাচ্ছে অনেকেই। যারা কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে মালোশিয়ায় যাচ্ছে তারা চায় একটু বেশি টাকা রোজগার করতে এবং ভালো কাজ পাওয়া।
কাজের, ভ্রমণের বা লেখাপড়া করার উদ্দেশ্য দেশ থেকে বিদেশে বা প্রবাসে যেতে হয়। এজন্য বাংলাদেশ থেকে বিদেশের যাওয়ার জন্য ভিসা বানাতে হয়। অনেক দিন পর মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশের জন্য ভিসা চালু করেছে। ভিসা দাম এক এক সময় ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। অনেকে সরকারি ভিসায় বিদেশ যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ভিসার দাম অনেক কমে পাওয়া যায়। ভিসার পাশা-পাশি আপনাকে পাসপোর্ট করতে হবে।
কত টাকা লাগবে বর্তমানে মালয়েশিয়া যেতে
মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা লাগবে এবং মালয়েশিয়া টিকেটের দাম কত তা নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন। যদি কোন কর্মী মালয়েশিয়া যেতে চায় তাহলে তার সরকার নির্ধারিত ফি হলো ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা মাত্র। কিন্তু বর্তমানে প্রচুর চাহিদার কারণে ০৪ লক্ষ টাকা থেকে ০৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হচ্ছে। বর্তমানে পাম বাগানে একজন শ্রমিক নিয়োগ দিলে বাংলাদেশ থেকে সেই শ্রমিকের ০৪ লক্ষ থেকে ০৪ লক্ষ ৫০ হাজার পর্যন্ত টাকা খরচ হয়। এবং ফ্যাক্টরির ভিসাতে একটু বেশি টাকা লাগে তাই বর্তমানে ৫ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ফ্যাক্টরির ভিসাতে খরচ হয়ে থাকে। আগের তুলনায় বর্তমান মালয়েশিয়ার ভিসা খরচ দ্বিগুণ বৃদ্ধি হয়েছে।
এবং ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী খরচ নির্ভর করে। আপনি কি উদ্দেশ্যে যেতে চাচ্ছেন সে রিলেটিভ মালয়েশিয়ার ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। আপনি যদি ভ্রমণ করতে অথবা পড়াশোনা করতে যান তাহলে আপনাকে টুরিস্ট ভিসা এবং স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। এবং কাজের জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিসা পাওয়া যায়। বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় মালয়েশিয়া যেতে ৭৮,৯০০ টাকা অভ্যন্তরীণ খরচসহ কর্মীর ব্যক্তিগত খরচ মিলিয়ে মোট প্রায় ১,০০,০০০ থেকে ১,৫০,০০০ টাকা লাগতে পারে। তাছাড়া ভিজিট ভিসায় মালয়েশিয়া যেতে ৬০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা লাগে। ভিসার ধরন ভেদে এই খরচ কম বা বেশি হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ বর্তমান বাজারে মুরগি দাম কত ২০২৪
মালয়েশিয়া ভিসা কিভাবে বানাতে হয়?
প্রথমে আপনাকে বেছে নিতে হবে আপনি কি ধরনের ভিসার মাধ্যমে মালয়েশিয়া যাচ্ছেন। তারপর ভিসা বানানোর জন্য আপনাকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এছাড়া আপনি যদি দালালের মাধ্যমে কাজের জন্য মালয়েশিয়া যেতে চান তাহলে সব কাজ তারাই সম্পর্ন করে দিবে। শুধু আপনাকে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র তাদের কাছে জমা দিতে হবে। তবে ভিসা বানাতে আপনাকে উপযুক্ত বয়স হতে হবে, জাতীয় পরিচয় পত্র থাকতে হবে এবং পাসপোর্ট থাকতে হতাক
মালয়েশিয়ার ফ্রী ভিসা করতে কত টাকা লাগবে
মালয়েশিয়া ফ্রি ভিসা ২০২৪ হচ্ছে মালয়েশিয়া কোন কোম্পানির যে কোন প্রতিষ্ঠানের একটি লাইসেন্সের উপর নির্ভর করে। মালয়েশিয়া মালিকানা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মালয়েশিয়া ফ্রি ভিসা স্পন্সার করেন বিভিন্ন সময়ে। আর এই সকল কাজগুলো হয়ে থাকে এজেন্টদের মাধ্যমে। তখন এজেন্টরা যে লোকটিকে কাজ করার জন্য মালয়েশিয়া যাবে তার পূর্বে তারা মালিককে জিজ্ঞেস করে তারা সেই কোম্পানিতে কাজ করবে নাকি বাইরে কাজ করবে।
যদি মালিক বলে বাইরে কাজ করবে তাহলে আপনি ফ্রি ভিসার মাধ্যমে প্রমাণ দেবেন আপনার কোন মালিকানা থাকবে না। ফ্রি ভিসায় অনেক সুযোগ সুবিধা থাকায় অনেকেই আগ্রহী হয় ফ্রি ভিসায় যেতে। কারণ ফ্রি ভিসায় যেতে পারলে কোম্পানির কাছে কোন বাধা থাকতে হবে না। এবং কোম্পানির কাজ ভালো না লাগলে অন্য কোম্পানিতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। আপনি চাইলে এক কোম্পানি থেকে আরেক কোম্পানিতে চলে যেতে পারবেন। আর যদি আপনি গিয়ে নির্দিষ্ট কোনো কোম্পানির বা অন্য কোন কোম্পানিতে কাজ করেন তাহলে আপনি মালিকানা ভিসায় মালয়েশিয়া যাওয়া হবে।
আরো পড়ুনঃ আজকের গ্যাস সিলিন্ডারের দাম কত ২০২৪
মালয়েশিয়া কোম্পানি ভিসা কী রকম
এটি হচ্ছে কোম্পানি দ্বারা পরিচালিত কাজের ভিসা। এই ক্ষেত্রে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন কোম্পানি থেকে বাংলাদেশে বিজ্ঞপ্তি দিবে। এই বিজ্ঞটিতে নির্ধারিত পরিমাণে লোক নেওয়া হবে। ততক্ষণ আপনাদের কে এই ভিসায় আসার জন্য সেই কোম্পানির জন্য ভিসা বানাতে হবে। এই ধরনের কাজ চুক্তিমূলক হলে সি কোম্পানির কাজ শেষে আপনাকে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। আবার নতুন কোম্পানির কাজ পেলে ভিসা বানিয়ে মালয়েশিয়া যেতে হবে।কিন্তু অনেকদিন যাবত মানুষের ভিসা বন্ধ থাকায় বাংলাদেশ থেকে কোম্পানির ভিসাতে কোন লোক যেতে পারেনি। তাই নতুন চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়াতে কোম্পানির ভিসাতে প্রচুর পরিমাণ লোক যাচ্ছে।
খুব শীঘ্রই বাংলাদেশ থেকে তারা অনেক শ্রমিক নিয়োগ দিবে। মালয়েশিয়া যে সকল ভিসাতে শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয় তা হলো ফ্যাক্টরি ভিসা, কৃষি ভিসা, ইলেকট্রিক ভিসা, ড্রাইভিং ভিসা, কলিং ভিসা ও কন্সট্রাকশন ভিসা। আপনি মালয়েশিয়া যেতে চাইলে এই সকল ভিসা যেকোনো একটিতে আবেদন করে নিতে পারেন। কেননা আমরা সকলেই জানি মালয়েশিয়া কাজের বেতন অনেক বেশি হয়ে থাকে।
মালয়েশিয়া কোম্পানি ভিসার দাম কত
আপনি যদি মালয়েশিয়া কোম্পানি ভিসাতে যেতে চান তাহলে আপনার খরচ হবে ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকার মতো । এখানে আপনার ভিসা বের করতে খরচ পড়বে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। আর অন্যান্য সকল খরচ মিলিয়ে আপনার খরচ হবে ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকা। কোম্পানির ধরন অনুসারে টাকার পরিমাণ কিছুটা কম বেশি হয়ে থাকে। তবে আপনার খরচের পরিমাণ ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। তবে সময় সাপেক্ষে এই টাকার মান কিছুটা কম বেশি হতে পারে। কেননা সময়ের সাথে সাথে জিনিসপত্রের মূল্য হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে। তবে যদি আপনি ফ্যাক্টরি ভিসাতে মালয়েশিয়া যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার খরচ পড়বে ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকার মতো।
টুরিষ্ট ভিসার দাম কত
সবাই ভ্রমণ করতে পছন্দ করে। বাংলাদেশের বিভিন্ন টুরিস্ট কোম্পানি মালয়েশিয়ার জন্য বিভিন্ন প্যাকেজ দিয়ে থাকে সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত টুরিস্ট কোম্পানিগুলো প্যাকেজ দিয়ে থাকে। প্রতিনিয়ত অনেক মানুষ রয়েছে তারা টুরিস্ট ভিসায় ভ্রমণ করতে মালয়েশিয়ায় চলে যাচ্ছে। অন্যান্য ভিসার তুলনায় টুরিস্ট ভিসা করতে একটু কম খরচ হয়। ভ্রমণ করার জন্য মালয়েশিয়া অনেকটাই উপযোগী একটি দেশ। এই মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান সহ দর্শনীয় স্থান রয়েছে। যেখানে বাংলাদেশ ও বিশ্বের অন্যান্য দেশের মানুষ প্রতিবছর ভ্রমণ করার উদ্দেশ্যে মালয়েশিয়ায় পৌঁছে থাকেন।
বাংলাদেশের অনেক মানুষ আছে তারা বিভিন্ন রাষ্ট্রগুলোতে ভ্রমণ করে। মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশ থেকে টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে মাত্র ৫ হাজার ৮০০ টাকা লাগে। সাথে আপনার বিমানের আপ ডাউন টিকিট ক্রয় করা থাকলে আপনি খুব সহজেই তিন মাস মালয়েশিয়া টুরিস্ট হিসেবে থাকতে পারবেন। ভ্রমণ বা বিদেশি ঘুরা-ঘুরি করতে গেলে অবশ্যই ভিসা নিয়ে যেতে হবে। এজন্য বিভিন্ন দেশে টুরিস্ট ভিসা পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এক এক দেশের টুরিস্ট ভিসার দাম এক এক রকমের। মালয়েশিয়ার টুরিস্ট ভিসার দাম ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত। ভিসা বানানোর পর মালয়েশিয়া যে কয়দিন থাকবেন তার সম্পূর্ণ খরচ নিজেকেই বহন করতে হবে। এছাড়া আপনারা যে কয়জন সেখানে ঘুরতে যাবেন, তাদের প্রতেকের জন্যই আলাদা আলাদা মালয়েশিয়ার টুরিস্ট ভিসা লাগবে।
মালয়েশিয়া যেতে কতটুক বয়স লাগবে
বর্তমানে মালয়েশিয়া যেতে হলে ২২ থেকে ৪০ বছর বয়সে মালয়েশিয়া কলিং ভিসা হয়ে থাকে। কিছু কোম্পানি ২২ থেকে ২৫ বছর পর্যন্ত বাংলাদেশীদের নিয়োগ দিয়ে থাকে। কিন্তু সকল কোম্পানি ২২ থেকে ৪০ বছর পর্যন্ত কলিং ভিসা দিয়ে থাকে না। ইলেকট্রিক্যাল কাজের ক্ষেত্রে ২২ থেকে ২৫ বছর বয়সেই সাধারণত কোম্পানিগুলো নিয়োগ দিয়ে থাকে। মালয়েশিয়াতে কৃষি কাজের ভিসা গুলোতে ১০ থেকে ৪০ বছর পর্যন্ত বয়সে নিয়োগ দিয়ে থাকে। তাই আপনার বয়স যদি ২২ থেকে ২৫ এর মধ্যে হয় তাহলে অবশ্যই ইলেকট্রিক্যাল কাজ শিখে মালয়েশিয়া যাবেন কারণ মালয়েশিয়াতে প্রচুর ইলেকট্রিক্যাল কাজের চাহিদা।
কৃষি ভিসার কত টাকা দাম
বাংলাদেশের তরুন প্রজন্মের নাগরিকেরা মালয়েশিয়া কৃষি কাজের জন্য খুব কম সংখ্যক প্রবেশ করে থাকে। এই দেশেও অনেক ধরনের কৃষি কাজের ব্যবস্থা আছে। ফসলের চাষ থেকে শুরু করে পশুর খামার ইত্যাদি। যারা কৃষি কাজ করতে চান, তারা মালয়েশিয়া কৃষি ভিসা বানিয়ে এই দেশের কৃষি কাজে অংশ নিতে পারেন। এছাড়া খামারের কাজও দিতে পারে কৃষি ভিসায়।। আপনাকে যেকোনো একটি কাজ দেওয়া হবে। আগের সময় ৩ লাখ ৫০ হাজারের মধ্যে কৃষি কাজের জন্য মালয়েশিয়ার কৃষি ভিসা পাওয়া যেতো। কিন্তু বর্তমান সময়ে মালয়েশিয়া কৃষি ভিসার দাম অনেক বেশি প্রায় ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পড়তে পারে। তবে দালালদের মাধ্যমে কৃষি ভিসা সংগ্রহ করতে চাইলে এই কৃষি ভিসার দাম হবে একটু বেশি।
স্টুডেন্ট ভিসার দাম কত
উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ যেতেও ভিসা লাগে। ভিসা ছাড়া অন্য দেশে যাওয়া সম্ভব নয়। সরকারিভাবে বিভিন্ন সময় বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য একদম ফ্রিতে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া যায়। আবার অনেকে রয়েছেন বিভিন্ন স্টুডেন্ট ভিসা তৈরি করে থাকেন। এই ভিসার যাওয়ার মাধ্যমে শুধু পড়াশুনা করতে হবে। সেখানে কোনো কাজে পার্মানেন্ট কাজে যুক্ত হতে পারবেন না। তবে কিছু কিছু কাজ করা যাবে। যেগুলো ফুল টাইমের নয়। মালয়েশিয়া স্টুডেন্ট ভিসার দাম ২ লাখ থেকে ৩ লাখ টাকার বা তার থেকে একটু বেশি হতে পারে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার মতো খরচ হতে পারে।
আশা করছি, আপনারা মালয়েশিয়া ভিসার দাম কত ২০২৪ এই সম্পর্কে বিস্তারিত বুঝতে পেরেছেন। Bazar Haal এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।